অর্থের বিনিময়ে পছন্দমতো বউ কেনা যায় যে দেশে

ছবি সংগৃহীত

 

টাকা থাকলে নাকি বাঘের চোখও মেলে। এমন প্রবাদ শুনেছেন নিশ্চয়ই? তবে টাকার বিনিময়ে যে বউ বা স্ত্রী পাওয়া যায় তা অনেকেরই হয়তো অজানা। অবাক লাগলেও একটি দেশে এমনটা খুবই স্বাভাবিক। সেদেশের পুরুষরা বিয়ের জন্য বাজার থেকে স্ত্রী কিনে আনেন।

 

সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের বাজার দেখা যায়। যেখানে নানা জিনিসপত্র কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু আজ এমন এক বাজারের বিষয়ে কথা বলব আমরা, যেখানে বিক্রি হয় কনে। এমন উদ্ভট কনের বাজার বসে বুলগেরিয়ায়। সেদেশে এটা একেবারেই বৈধ।

অর্থোডক্স খ্রিস্টান লেন্টের প্রথম শনিবার কেউ যদি সেই দেশের স্টারা জাগোরা শহরে যান, তাহলে তিনি অভিনব এই বউ বাজারের দেখা পাবেন। গোটা শহরটি আনন্দ আর ব্যস্ততায় মুখর হয়ে ওঠে। সুন্দর সাজসজ্জা আর গয়নায় সজ্জিত হয়ে বাজারে আসেন সম্ভাব্য কনেরা। হাই হিল জুতো এবং মিনি স্কার্ট পরে মোহময়ী আবেদনে পুরুষদের আকৃষ্ট করেন তারা।

 

মূলত সেখানকার দরিদ্র পরিবারগুলো এভাবেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে থাকেন। আবার এটা কালাইদঝি সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির অঙ্গও। এই সম্প্রদায়ের মানুষগুলো সাধারণত তামার কাজ করে। নিজেদের বিশ্বাস এবং আচারের কারণেই এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা সংবাদ শিরোনামে পৌঁছে গিয়েছে। কনের বাজারে নানা ধরনের মানুষ জড়ো হয়ে নাচে-গানে মাতে। গল্প-আড্ডার ফাঁকে পানাহারও চলে। এই এলাকাটা আবার জিপসি ব্রাইড মার্কেট নামেও পরিচিত।

 

কনের সঙ্গে বাজারে আসেন তাদের মায়েরাও। সুন্দর সাজসজ্জা করে তারাও থাকেন মেয়েদের পাশে। কনেদের মায়েদের মধ্যে একটা গরিমাও কাজ করে। কারণ মায়েরা ভাবেন যে, তারা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছেন, যেখানে তারা নিজেদের সমাজের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি পালন করতে সক্ষম হয়েছেন।

এই সম্প্রদায়ের মানুষগুলো এক সময় বুলগেরিয়াতে এসেছিল। শুধু সেখানেই নয়, পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়েছিল তারা। এটা ১২-১৪ শতকের ঘটনা। এই সম্প্রদায়ের সমাজের রীতিনীতি অনুসারে, গ্রামে তারা একে অপরের থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসবাস করে। গ্রামের পুরুষ সদস্যদের সঙ্গে মেয়ে এবং নারীদের দেখা করার কোনো অনুমতি থাকে না।

বুলগেরিয়ায় রয়েছে এই কনের বাজার। এটা সেই দেশে একেবারেই বৈধ। অর্থোডক্স খ্রিস্টান লেন্টের প্রথম শনিবার কেউ যদি সেই দেশের স্টারা জাগোরা শহরে যান, তাহলে তিনি অভিনব এই বউ বাজারের দেখা পাবেন। গোটা শহরটি আনন্দ আর ব্যস্ততায় মুখর হয়ে ওঠে। সুন্দর সাজসজ্জা আর গয়নায় সজ্জিত হয়ে বাজারে আসেন সম্ভাব্য কনেরা। হাই হিল জুতো এবং মিনি স্কার্ট পরে মোহময়ী আবেদনে পুরুষদের আকৃষ্ট করেন তারা।

সম্প্রদায়ের বাইরে অন্য কোনো পুরুষকে বিয়ে করার অধিকার নেই মেয়েদের। আজ আধুনিক যুগেও এমন বাজারের কথা শুনে স্বাভাবিক ভাবেই চমকে উঠছেন গোটা বিশ্ববাসী। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে তো এই কনের বাজারের বিষয়ে বলা হয়েছে যে, ওই বাজার থেকে পুরুষরা আসলে বউ কেনেন না, বরং কেনেন মেয়েদের কুমারীত্ব।   সূত্র: এনডিটিভি

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নির্বাচন কমিশন অপেশাদার আচরণ করছে: সাদিক কায়েম

» ক্যাসিনো কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে আটক করেছে পুলিশ

» নির্বাচন ব্যবস্থা হাসিনা ভাঙেনি, ভেঙেছে তার বাপ প্রথম ভোট চোর ও ব্যাংক ডাকাত শেখ মুজিব: দুদু

» জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুরের সঙ্গে গণঅধিকার জড়িত নয়: রাশেদ খান

» যারা গালির স্লোগান দিচ্ছে তারাই জেনজিদের প্রতিনিধিরা, এরকম গালি শুনব তা কল্পনাও করতে পারিনি: নিলোফার চৌধুরী

» নির্বাচন নয়, আ. লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে: উপদেষ্টা আসিফ

» অস্ত্র ও গুলিসহ ৪ বনদস্যু আটক

» বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

» একাদশে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু রোববার

» বাকখালী নদী অবশ্যই অবৈধ দখল মুক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

অর্থের বিনিময়ে পছন্দমতো বউ কেনা যায় যে দেশে

ছবি সংগৃহীত

 

টাকা থাকলে নাকি বাঘের চোখও মেলে। এমন প্রবাদ শুনেছেন নিশ্চয়ই? তবে টাকার বিনিময়ে যে বউ বা স্ত্রী পাওয়া যায় তা অনেকেরই হয়তো অজানা। অবাক লাগলেও একটি দেশে এমনটা খুবই স্বাভাবিক। সেদেশের পুরুষরা বিয়ের জন্য বাজার থেকে স্ত্রী কিনে আনেন।

 

সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের বাজার দেখা যায়। যেখানে নানা জিনিসপত্র কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু আজ এমন এক বাজারের বিষয়ে কথা বলব আমরা, যেখানে বিক্রি হয় কনে। এমন উদ্ভট কনের বাজার বসে বুলগেরিয়ায়। সেদেশে এটা একেবারেই বৈধ।

অর্থোডক্স খ্রিস্টান লেন্টের প্রথম শনিবার কেউ যদি সেই দেশের স্টারা জাগোরা শহরে যান, তাহলে তিনি অভিনব এই বউ বাজারের দেখা পাবেন। গোটা শহরটি আনন্দ আর ব্যস্ততায় মুখর হয়ে ওঠে। সুন্দর সাজসজ্জা আর গয়নায় সজ্জিত হয়ে বাজারে আসেন সম্ভাব্য কনেরা। হাই হিল জুতো এবং মিনি স্কার্ট পরে মোহময়ী আবেদনে পুরুষদের আকৃষ্ট করেন তারা।

 

মূলত সেখানকার দরিদ্র পরিবারগুলো এভাবেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে থাকেন। আবার এটা কালাইদঝি সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির অঙ্গও। এই সম্প্রদায়ের মানুষগুলো সাধারণত তামার কাজ করে। নিজেদের বিশ্বাস এবং আচারের কারণেই এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা সংবাদ শিরোনামে পৌঁছে গিয়েছে। কনের বাজারে নানা ধরনের মানুষ জড়ো হয়ে নাচে-গানে মাতে। গল্প-আড্ডার ফাঁকে পানাহারও চলে। এই এলাকাটা আবার জিপসি ব্রাইড মার্কেট নামেও পরিচিত।

 

কনের সঙ্গে বাজারে আসেন তাদের মায়েরাও। সুন্দর সাজসজ্জা করে তারাও থাকেন মেয়েদের পাশে। কনেদের মায়েদের মধ্যে একটা গরিমাও কাজ করে। কারণ মায়েরা ভাবেন যে, তারা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছেন, যেখানে তারা নিজেদের সমাজের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি পালন করতে সক্ষম হয়েছেন।

এই সম্প্রদায়ের মানুষগুলো এক সময় বুলগেরিয়াতে এসেছিল। শুধু সেখানেই নয়, পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়েছিল তারা। এটা ১২-১৪ শতকের ঘটনা। এই সম্প্রদায়ের সমাজের রীতিনীতি অনুসারে, গ্রামে তারা একে অপরের থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসবাস করে। গ্রামের পুরুষ সদস্যদের সঙ্গে মেয়ে এবং নারীদের দেখা করার কোনো অনুমতি থাকে না।

বুলগেরিয়ায় রয়েছে এই কনের বাজার। এটা সেই দেশে একেবারেই বৈধ। অর্থোডক্স খ্রিস্টান লেন্টের প্রথম শনিবার কেউ যদি সেই দেশের স্টারা জাগোরা শহরে যান, তাহলে তিনি অভিনব এই বউ বাজারের দেখা পাবেন। গোটা শহরটি আনন্দ আর ব্যস্ততায় মুখর হয়ে ওঠে। সুন্দর সাজসজ্জা আর গয়নায় সজ্জিত হয়ে বাজারে আসেন সম্ভাব্য কনেরা। হাই হিল জুতো এবং মিনি স্কার্ট পরে মোহময়ী আবেদনে পুরুষদের আকৃষ্ট করেন তারা।

সম্প্রদায়ের বাইরে অন্য কোনো পুরুষকে বিয়ে করার অধিকার নেই মেয়েদের। আজ আধুনিক যুগেও এমন বাজারের কথা শুনে স্বাভাবিক ভাবেই চমকে উঠছেন গোটা বিশ্ববাসী। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে তো এই কনের বাজারের বিষয়ে বলা হয়েছে যে, ওই বাজার থেকে পুরুষরা আসলে বউ কেনেন না, বরং কেনেন মেয়েদের কুমারীত্ব।   সূত্র: এনডিটিভি

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com